গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ নীতিকে সার্থকভাবে
রূপায়ণের জন্য ভারতবর্ষে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি জানানো
হয়েছে। গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ভারবর্ষে পঞ্চায়েতীরাজ
ব্যবস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, পঞ্চায়েতীরাজ ও গণতান্ত্রিক
বিকেন্দ্রীকরণ সমাজ উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। গ্রামের
মানুষদের স্বার্থকে পরিপূর্ণ করতেই পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত
৫-৩০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় । প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত হবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম
পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত সদস্যগণ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি ছাড়া
সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে। পঞ্চায়েত
সমিতির যে সমস্ত সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হবেন তাঁরা প্রধান বা উপপ্রধানের
পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না । তাঁরা কোন ভোট দিতে পারবেন না বা কর্মকর্তা হতে
পারবেন না। মোটামুটিভাবে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসন আছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের
প্রধান অর্থনৈতিক ও বিষয় ও প্রশাসন পরিচালনা করেন। তিনি পঞ্চায়েতের দলিল, নথিপত্র,
সীল প্রভৃতি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করেন। তিনি পঞ্চায়েতের নিজের কর্মচারীদের এবং
রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রেরিত অফিসার ও কর্মচারীদের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করেন। পঞ্চায়েত
কর্তৃক নিযুক্ত কোনো অফিসার বা কর্মচারীকে অপ্রয়োজনীয় মনে করলে তিন মাসের নোটিশ বা
তিন মাসের বেতন দিয়ে অব্যাহতি দিতে পারেন প্রধান। আবার অসদাচারন বা কাজকর্মের
গাফিলতির কারণে পঞ্চায়েতের কোন অফিসার বা কর্মচারীকে প্রধান সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারেন ।
No comments:
Post a Comment