Wednesday, 30 September 2015

CASE STUDY(কেস স্টাডি পদ্ধতি)

একজন ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ ও সামগ্রিকভাবে ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকমের তথ্য, যেমন সামাজিক, শারীরিক, জীবণীমূলক,পরিবেশগত, বৃত্তিগত ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করাকেই কেস স্টাডি বলে বা ব্যক্তি অধ্যয়ন বলে ।
 বিভিন্ন অভীক্ষা এবং কৌশলের সাহায্যে ব্যক্তি সম্পর্কীয় সামগ্রিক তথ্যসংগ্রহ করাই হল কেস স্টাডি । সমগ্র ব্যক্তিকে জানতে এটি হল সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভবত সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি । কেস স্টাডির উদ্দেশ্য হল তথ্যের সমস্ত উৎসকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি সম্পর্কিত সব তথ্যসংগ্রহ করা । কেস স্টাডিতে তথ্যসমূহকে এমনভাবে সংগঠিত এবং সমন্বিত করা হয় ফলে ব্যক্তি কীভাবে পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনের চেষ্টা করছে তা জানা যায় । কেস স্টাডির প্রধান উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিকে সামগ্রিকভাবে দেখা ।

কেস স্টাডি ও কেস হিস্ট্রির মধ্যে অনেক সময় বিভ্রান্তি দেখা দেয় । কোনো ব্যক্তির  শারীরিক,সামাজিক ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত ইতিহাসকে কেস হিস্ট্রি(CASE HISTORY) বলে । এক্ষেত্রেও ব্যক্তির বিভিন্ন রকম বৈশিষ্ট্য সংগ্রহ করা এবং তা অধ্যয়ন করা হয় । কিন্ত এই সকল তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তির বিকাশ সম্পর্কীয় কোনো মন্তব্য করা হয় না ।কেস স্টাডিতে সমগ্র ব্যক্তি সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করা হয়, ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব কীভাবে গড়ে উঠেছে তার ব্যাখ্যা করা হয় এবং বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে পরামর্শদাতা তার উন্নত অভিযোজনে পরামর্শ দেন। এক কথায় বলা যায়, Case Study এবং Case History-কে অনেকে একই বলে মনে করেন ।তবে বাস্তবে এর মধ্যে পার্থক্য আছে । Case Study হল Case History এবং আরও কিছু।  
গভীর সমস্যার ক্ষেত্রে কেস স্টাডি ব্যবহার হয় বলে এর পরিধি সীমাবদ্ধ আচরণের যে যে ক্ষেত্রে অনুসন্ধান(diagnosis) এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রেই কেস স্টাডির দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত থাকে । কেস স্টাডিতে একটা বিকাশমূলক দৃষ্টিভঙ্গিও থাকে । কেবল অপেক্ষাকৃত গভীর সমস্যার কারণ অনুসন্ধান এবং চিকিৎসার উপায় বাতলে দেওয়াই নয়, পরামর্শদাতা এখানে ব্যক্তির উন্নত অভিযোজনেও আগ্রহ প্রকাশ করেন ।কেস স্টাডির অন্যতম উদ্দেশ্য হল ব্যক্তির উন্নত অভিযোজন । পরামর্শদাতা এখানে ব্যক্তির দক্ষতা ও দুর্বলতা, ক্ষমতা ও অক্ষমতা লক্ষ্য করেন যার উদ্দেশ্য হল ব্যক্তির সামগ্রিক বিকাশকে সার্থক করে তোলা । অর্থাৎ অভিজ্ঞ ও পেশাগতভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর দ্বারা ব্যক্তি সম্পর্কীয় সামগ্রিক তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে সুপারিশসহ মন্তব্য করাকেই কেস স্টাডি বা ব্যক্তি অধ্যয়ন বলা হয় । Case Study-র সাথে সর্বাত্মক বিবরণী পত্রের(CRC) সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় । পার্থক্য হল ব্যক্তি অধ্যয়ন বা Case Study  প্রকৃতিগতভাবে বিশ্লেষণধর্মী। বিশ্লেষণের পর সুপারিশসহ মন্তব্য করাও Case Study- আওতার মধ্যে পড়ে যেটা সর্বাত্মক বিবরণী পত্রের মধ্যে দেখা যায় না ।  Case History বা ব্যক্তির ইতিহাস অনেক ক্ষেত্রে একই অর্থে ব্যবহৃত হয় । এদের মধ্যেও কিছু পার্থক্য আছে ।  Case History-তে সর্বাত্মক বিবরণী পত্রের মতো নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্যক্তি সম্পর্কিত তথ্যের সংশ্লেষণ করা হয় ।কিন্ত সর্বাত্মক বিবরণী পত্রের তুলনায় আরও নিখুঁতভাবে এটা করা হয় ।
মনস্তাত্ত্বিক, মনো-চিকিৎসক ও সমাজ সংস্কারক সাধারণত Case Study ব্যবহার করে থাকেন । শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যবহার কদাচিৎ হয় । কারণ শিক্ষক-উপদেষ্টা এবং সহশিক্ষকদের সময়ের স্বল্পতার জন্য এটা সম্ভব হয় না । উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবও আর একটি কারণ । তবে বিদ্যালয়ের নির্দেশনা বিভাগ সমস্যাক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য Case Study করে থাকেন ।
 Case Study-তে কী ধরনের তথ্য সংগৃহীত হবে।(What type of Information to be collected for Case Study): প্রথমে নির্দিষ্ট করতে হবে কার Case Study হবে । অতঃপর পরিবেশগত কী কী কারণে উক্ত ব্যক্তি সমস্যাক্রান্ত তা অবহিত হওয়া প্রয়োজন ।এর জন্য নিম্নলিখিত তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন ।
(ক) প্রাকৃতিক, আর্থসামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ ।
(খ) পরিবারের অতীত ও বর্তমান অবস্থা ।
(গ) ব্যক্তির বিকাশগত ও বর্তমান অবস্থা ।
 (ক) প্রাকৃতিক, আর্থসামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশঃ
Ø প্রাকৃতিক পরিবেশ-প্রাকৃতিক পরিবেশ বলতে বোঝায় ব্যক্তির প্রতিবেশী (যেখানে সে বড় হয়েছে), স্থানটি গ্রাম বা শহর, বস্তি অঞ্চল না শিক্ষিত ও বিত্তশালীদের আবাসস্থল, বৃহৎ আবাসনের ফ্ল্যাট না নিজস্ব বাড়ি ইত্যাদি ।      
Ø আর্থসামাজিক পরিবেশ-আর্থসামাজিক পরিবেশ হল যে সমাজে ব্যক্তি বাস করছে তার প্রকৃতি- ব্যবসায়ী,চাকরিজীবী,সাধারণ কল-কারখানার শ্রমিক, ক্রিশিজিবি,উচ্চ পেশাজীবি ইত্যাদি । কমিউনিটিতে কোনো খেলার মাঠ, বিনোদনমূলক ব্যবস্থা, ক্লাব ইত্যাদি সুযোগসুবিধা আছে কি না ।
Ø সাংস্কৃতিক পরিবেশ- প্রতিবেশিদের জীবনধারা , আদর্শ, দৃষ্টিভঙ্গি,শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদি ।
(খ) পরিবারের অতীত ও বর্তমান অবস্থাঃ
পরিবারের সদস্য, জথা-পিতা,মাতা, ভাই, বন-এদের সাধারণ স্বাস্থ্য । অধিকাংশ সুসাস্থ্যের অধিকারী না শীর্ণকায়, নীরোগ দেহ না বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকে, পরিশ্রমী না অলস প্রকৃতির ইত্যাদি ।
Ø যোগ্যতা- শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা, বিশেষ কোনো ক্ষমতা অক্ষমতা ।
Ø সম্পর্কের গভীরতা- যৌথ পরিবার না একক পরিবার, পারিবারিক নিরাপত্তার অবস্থা, সন্তানদের প্রতি পিতামাতার মনোভাব ইত্যাদি ।
Ø প্রক্ষোভিক সংগতিবিধান মেজাজি,উচ্ছল,বদমেজাজি,আক্রমনাত্মক,ভীতু,বহির্মুখি(extrovert),অন্তর্মুখী(introvert)ইত্যাদি ।
Ø পরিবারের সামাজিক অবস্থান- পরিবারের সামাজিক অবস্থান কীরূপ- নেতৃত্ব দানকারী,উর্ধমুখী না পড়ন্ত অবস্থায় । যথেষ্ট পরিচিত না একেবারেই পরিচিত নয় বা বিচ্ছিন্ন ।
(গ)ব্যক্তির বিকাশগত ও বর্তমান অবস্থাঃ
ব্যক্তি সম্পর্কিত তথ্য পরিবার সম্পর্কিত তথ্যের অনুরুপ । ব্যক্তির দৈহিক-ওজন, উচ্চতা প্রভৃতি দৈহিক বৃদ্ধি কি স্বাভাবিক ? হাটা, কথা বলা, বয়ঃসন্ধিক্ষণের বহিঃপ্রকাশ কি বয়স অনুযায়ী হয়েছে ? শারীরিক অসুস্থতা বা ইন্দ্রিয়জনিত ত্রুটি, যেমন- চোখে কম দেখা বা কানে কম শোনা ইত্যাদি আছে কিনা; ব্যক্তি সক্রিয়, কর্মোদ্যোগী না অলস প্রকৃতির, প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষার বিবরণ ইত্যাদি ।
Ø ব্যক্তির মানসিক ক্ষমতা- বুদ্ধি,প্রবনতা,আগ্রহ,ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি মনস্তাত্ত্বিক অভীক্ষার ফল । মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক না কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী, বিদ্যালয়ে পারদর্শিতার ফল ইত্যাদি ।
Ø প্রক্ষোভিক বিকাশ-প্রক্ষোভিক ভারসাম্যের অবস্থা,প্রক্ষোভিক পরিণমণ,ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা, ভালোবাসা, বিরোধী মনোভাব প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যক্তির অবস্থান,ব্যক্তি ভীতু প্রকৃতির, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, আতংকগ্রস্ত,নার্ভাস, নিজেকে সর্বদা দূরে রাখতে চাই কি না, ব্যক্তি কি বদমেজাজি? তাকে কি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন ব্যাপার ? ব্যক্তি কি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ? সে কি খুবই ভালো মানুষ প্রকৃতির ?
Ø সামাজিক বিকাশ- পরিবারে ব্যক্তির অবস্থান, ব্যক্তি কী পিতামাতার একমাত্র সন্তান, জোষ্ঠ সন্তান, পিতামাতা কি তাকে অধিক স্নেহ করেন । সহপাঠীদের সঙ্গে তার আচরণ, লাজুক প্রকৃতির কি না, সে কি সকলকে এড়িয়ে চলে । সে কি শ্রেনিকক্ষে বা সমবয়সীদের নেতৃত্ব দেয়, পিতাকে অনুসরণ করে না, নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখে । সে কি অন্যান্যাদের প্রতি বলপ্রয়োগ করে, মারামারি করে, তার ব্যবহারে কি অন্যান্যরা অসন্তোষ প্রকাশ করে । সে কি সর্বদা অন্যান্যদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ইত্যাদি ।
Ø আদর্শ এবং মনোভাব- ব্যক্তি কি কোনো আদর্শে বিশ্বাসী, তার রুচিবোধ,নীতিবোধ, সে কি কখনো অপরাধমূলক আচরণ করেছ যার জন্য এখনও লোকে তাকে ভয় করে বা পছন্দ করে না, সে কি কোনো সময় গৃহে, বিদ্যালয়ে বা কমিউনিটিতে সমস্যার কারণ হয়েছে ইত্যাদি ।
কোনো ব্যক্তির Case Study করার জন্য প্রয়োজনীয় বহুবিধ তথ্যাবলির মধ্যে উপরিউক্ত তথ্যসকল কিছু তথ্য মাত্র । প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে সমগ্র ব্যক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করা হয় । পরিবার, পরিবেশ এবং ব্যক্তির নিজ সম্পর্কিত বিবরণ প্রভৃতির সাহায্যে সমগ্র ব্যক্তির মুল্যায়ন করা হয় । সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তির অতীত ও বর্তমানকে ব্যাখ্যা করা হয় । পাশাপাশি ভবিষ্যতে তার উন্নতির জন্য কী করা প্রয়োজন, কীভাবে অগ্রসর হতে হবে সে সম্পর্কে সুপারিশ করাই হল Case Study-র অন্যতম লক্ষ্য ।

Questionnaire
Name:
School:
Class:                  Age:
Inhabitant:               Date:
প্রাকৃতিক, আর্থসামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশঃ
Sl.No.
Question
Answer
1.   
ছাত্রটি কোথায় থাকে ?
গ্রামে ।
2.   
ছাত্রটি কি অবস্থায় থাকে ?
বাড়া বাড়িতে।
3.   
ছাত্রটির প্রতিবেশীদের আর্থিক অবস্থা কীরূপ ?
বেশির ভাগ গরীব ।
4.   
পিতার পেশা কি ?
কৃষক ।
5.   
মা –এর পেশা কি ?
গৃহিণী ।
6.   
পিতার শিক্ষাগত যোগ্যতা ।
পঞ্চমমান ।
7.   
মা –এর শিক্ষাগত যোগ্যতা।
নিরক্ষর ।


Case Study প্রস্তুতে অসুবিধা (Difficulties for preparing Case Study)
Ø কেস স্টাডি প্রস্তুত করা সহজ কাজ নয় বরং যথেষ্ট জটিল এবং সময়সাপেক্ষ । প্রস্তুতকারী দক্ষ না হলে ব্যক্তিগত প্রভাবদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । শ্রেণীকক্ষে কেস স্টাডি প্রস্তুত করা সম্ভব নয় । একজন শিক্ষক বছরে সর্বোচ্চ একজন বা দুজন ছাত্রের কেস স্টাডি প্রস্তুত করতে পারেন । পরামর্শদাতার পক্ষে এর বেশি করা সম্ভব কিন্তু তাঁকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, জথা-(ক) কেস স্টাডি সমস্যার গভীরে প্রবেশ করবে । (খ) পিতামাতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে । চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে । সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে যারা পরিচিত তাদের সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে । কেস স্টাডি কখনোই একমুখী হবে না ।(গ)সংগৃহীত সব তথ্যকেই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করতে হবে । কোনো তথ্যকেই অবহেলা করা উচিত হবে না ।
নির্দেশনা ও পরামর্শদানে কেস স্টাডির গুরুত্ব (Importances of Case Study in Guidance and Counselling)
নির্দেশনা এবং পরামর্শদানের জন্য ব্যক্তির অতীত সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য Case Study থেকে পাওয়া যায় । একটি উত্তম Case Study পরামর্শদাতাকে নিম্নোক্তভাবে সাহায্য করতে পারে –
1) শিক্ষার্থীর প্রবণতা , আগ্রহ অভ্যান্তরীণ চাহিদা সম্পর্কীয় তথ্য কেস স্টাডি থেকে পাওয়া যায় ।
2) শিক্ষার্থীর পিতামাতা, ভাইবোন এবং অন্যান্য নিকট সম্পর্কীয় আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্কের চিত্র Case Study থেকে পাওয়া যায় ।
3) শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন সম্পর্কিত তথ্য এবং প্রবণতা সংগ্রহ করা যায় ।
4) শিক্ষার্থীর আচরণগত ত্রুটি, বদব্যাস এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায় , যেমন-চুরি করা, মিথ্যা কথা বলা ইত্যাদি ।
5) শিক্ষার্থী হীনমন্যতায় ভুগছে কিনা বা নিজেকে অহেতুক বড়ো বলে মনে করছে কিনা প্রভৃতি তথ্য জানা যায় ।
6) শিক্ষার্থীর কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকলে তা জানা যায় । শিক্ষার্থীর শিক্ষাসংক্রান্ত দুর্বলতা আছে কিনা, থাকলে তার কারণও জানা যায় ।
7) শিক্ষার্থী কী ধরণের সমস্যায় আক্রান্ত হ্যেছিল,তার কীরকম চিকিৎসা হয়েছে, চিকিৎসার ফল কী হ্যেছে-এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য Case Study থেকে পাওয়া যায় বলে শিক্ষার্থীর সামগ্রিক অভিযোজন সংক্রান্ত তথ্য জানা যায়, যার ফলে নির্দেশনা ও পরামর্শদানের কাজটি সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করা সহজ হয় ।                                                                                        

8) Case Study থেকে শিক্ষার্থীর চরিত্রের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্যসংগ্রহ করা যায়, যার সাহায্যে অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা শিক্ষার্থীর সামগ্রিক চরিত্র মুল্যায়ন করতে পারেন জা শিক্ষার্থীর শিক্ষা ও বৃত্তি পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।

Syllabus for D.EL.ED COURSE,2015-16

PAPER II
Contemporary Indian Society
Maximum Marks-100
External-80
Internal-20
Unit-1:India: The freedom struggle and Independence
(A)Impact of colonialism on Indian Society Economy & Polity.
(B)Anti-Colonial struggle and different visions about independent India.
Unit-2:Constitution of India and Education
(A)  Constitutional Vision at Independent India;then & now.
(B)  Constitution and India: Concurrent states of Education.
(C)  Policies Arts & Provisions related to education and children with special references to their context(class,caste,tribe,religion,language & gender)
(D)  Equality and justice in Indian constitution, different school system and the idea & common neighbourhood school.
(E)  Right to Education act,2009.
Unit-3:Democracy in India
(A)Democratic systems and institutional structures: Party system and electoral politics. The centre and the state, the Judiciary, Legislature & Executive.
(B)Decentralization and Panchayeti Raj(Specially through 73rd &74th ammendment)
(C)Inequalities of caste, class gender and religions and linguistic identites.
Unit-4:Indian Economy
(A)Issues and debates on Globalization, Liberalizatio and Privatization of economy.
(B) Unorganised sector and migrant labour.
Unit-5:Some suggested projects on contemporary Indian Issues(any two)
(A) Educational debates and movements.
(B) First generation learner in school.
(C) Children with disability and inclusive education.
(D)Role of Media in Democracy.
(E) Understanding childhood in India.
(F) Construct of the child and school in RTE act
(G)Marginalization and education in the context of conflict.

(H)Impact of electronic media in children. 

Sunday, 27 September 2015

Analyze the sectors leading to the rise of National Consciousness during the British rule, How did it spread ideas on Education.

ভারতের ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে মধ্যযুগে ভারতে বিদেশী আক্রমণের ঢেউ এসছিল। হূন,তুর্কি,মোগল এবং শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা ভারত আক্রমণ করে ভারতকে দীর্ঘদিন শাসন করেছিল । কিন্ত ইংরেজ শাসনের সময়েই ভারতে ভারতবাসীদের মধ্যে শিক্ষার চেতনা জাগরিত হতে শুরু করে । এই চেতনা পরবর্তীকালে ভারতবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবোধের সঞ্চার লাভ করে । এর পেছনে ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থার শিক্ষা ও শাসনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিকই দ্বায়ী ছিল।ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ভারতীয়দের চেতনা জাগরিত হওয়ার কারণগুলি হল-
ব্রিটিশ সরকারের উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষা নীতিঃ- ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য ছিল ভারত শাসন করার জন্য কিছু অনুগত কর্মচারী তৈরি করা ।এই কর্মচারীদের দিয়ে যাতে পরবর্তীকালে নিজ স্বার্থকে সফলভাব রুপায়িত করা যায় এটাই ছিল ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য ।
বিদেশিদের দ্বারা শিক্ষা প্রশাসন নিয়ন্ত্রনঃ- ব্রিটিশরা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতো। ভারতীয়দের শিক্ষাদান ব্রিটিশদের প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল না ।ব্রিটিশদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের ব্যবসার সুবিধার জন্য কর্মী সৃষ্টি করা ।যার জন্য ব্রিটিশরা ভারতীয়দের নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে দিতনা । ভারতীয়দের উচ্ছ শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হত না । এর প্রতিফলন হিসাবে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয় চেতনার সৃষ্টি হতে শুরু করে। ভারতীয়রা স্পষ্ট বুঝতে পারে যে ভারতীয়দের প্রতি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
ইংরেজি শিক্ষার প্রচলনঃ- ব্রিটিশরা উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে কোম্পানির স্বার্থে শিক্ষা নীতির পরিবর্তন ঘটিয়েছিল। যাতে ভারতে ইংরেজি শিক্ষা চালু করা যায়।এজন্য মিশনারি উদ্যোগ, বেসরকারী এবং সরকারী প্রচেষ্টায় ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তার লাভ করতে শুরু করে। এতে ভারতীয়দের মধ্যে স্বাধীনতা ও জাতীয় চেতনা সম্পর্কে নতুন ধারণার সৃষ্টি হয়।
পুঁথিগত শিক্ষাঃ- ব্রিটিশরা ভারতকে শাসন করার উদ্দেশ্যে তাদের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য ভারতে পুঁথিগত বিদ্যার বা শিক্ষার বিস্তার করতে শুরু করে। তার সাথে সাথে ইংরেজি ও বিজ্ঞান উপরও জোর দিতে থাকে। কিন্ত উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য সুযোগ দেওয়া হত না। ব্রিটিশদের মধ্যে সাদা ও কালোর মধ্যে যে পার্থক্য তা ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধ চেতনা ও ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা সৃষ্টি করে ।          
ব্যবহারিক শিক্ষার অভাবঃ- ব্রিটিশদের অধীনে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় তাতে শিক্ষার্থীদের জীবনের উন্নয়নে বা জীবন প্রতিষ্ঠার শিক্ষা চেতনা দেওয়া হত না ।কারণ ব্যবহারিক শিক্ষা লাভে ভারতীয়দের সুযোগ দেওয়া হত না। ফলে মধ্যবিত্ত কিছু ভারতীয় বিদেশে শিক্ষা লাভ করতে চেষ্টা করে । ভারতীয় শিক্ষায় কিছু করণিক, গাড়িচালক, সৈন্য, ব্যাঙ্ক কর্মচারী প্রভৃতির কাজ করতে পারে। যার ফলে ভারতকে শাসন ও শোষণ করতে ব্রিটিশদের সুবিধা হবে। এর ফলে ভারতীয়রা, ভারতীয় ও ব্রিটিশদের মধ্যে যে পার্থক্য তা উপলব্দি করতে পারে । ফলে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধ,একতাবোধ স্বাধীন চেতনা জন্মাতে শুরু করে ।  
গণ শিক্ষাকে অবহেলাঃ- সমস্ত ভারতীয়রা শিক্ষা লাভ করুক ব্রিটিশরা তা চাই না ।কারণ ভারতীয়রা শিক্ষিত হলে বেশীদিন আর ভারতকে শাসন ও শোষণ করা যাবে না। তাই ব্রিটিশরা গণশিক্ষাকে অবহেলা করত। কিন্ত যে মধ্যবিত্ত সন্তান শিক্ষা লাভ করেছে তারা এই বিষয়টি উপলব্দি করতে পারে ফলে এরা ব্রিটিশের শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে গণ শিক্ষা দিতে শুরু করে । এতে করে যেমন শিক্ষা চেতনা বৃদ্ধি পেল, তেমনি ব্রিটিশ বিরোধী চেতনা বৃদ্ধি পেতে আরম্ব করে।
উচ্চ শিক্ষার সুযোগের অভাবঃ-ব্রিটিশরা যে শিক্ষা ব্যবস্থা ভারতে চালু করেছিল তা ছিল নিম্ন স্তরে । উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ভারতীয়দের সুযোগ ছিল না। ফলে ইচ্ছা করলেও ভারতীয়রা উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারত না । কেবলমাত্র কিছু ধনি ব্যক্তি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যায়।এই শ্রেণির লোকেরা বিদেশে পড়া শেষ করে দেশে ফিরে এসে দেশের মানুষের প্রতি চেতনা অর্থাৎ জাতীয় চেতনা প্রসার ঘটাতে শুরু করে । যা পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের রুপ দেয়।  
ভারতীয়দের দ্বারা নৈতিক মানের প্রচেষ্টাঃ- যে সকল ভারতীয় বিদেশে ও স্বদেশে শিক্ষা লাভ করে তারা সরকারী চাকরিতে যোগদান করে । তারাই ব্রিটিশ শাসনে থেকে ভারতীয় জাতীয় সচেতনতামূলক জাগরণের জন্য নৈতিক মানের উন্নতির প্রচেষ্টা চালায় । কিছু শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রণীর উন্মেষ, উকিল, ডাক্তার,শিক্ষক,সাংবাদিক, ব্যাঙ্ক কর্মচারী প্রভৃতি ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় সচেতনতা প্রসার ও প্রচারের জন্য সকল অংশের মানুশকে অনুপ্রাণিত করে তোলে।
আন্তর্জাতিক ঘটনার প্রভাবঃ- একদিকে ব্রিটিশের অত্যাচার অন্যদিকে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমে বিশ্বের কিছু আন্তর্জাতিক ঘটনা যেমন, চিন, ভিয়েতনামের আন্দোলন জার্মানি, জাপানের জাতীয়তাবাদ, প্রভৃতি ঘটনা ভারতবাসীদেরকে জাতীয়তাবাদের জন্য উৎসাহদান করে।
উপসংহারঃ- একথা ঠিক যে, ভারতের ইতিহাসে ব্রিটিশ শাসন যদি না আসত তাহলে ভারত আজও বিচ্ছিন্নতাবাদের অন্ধকার নিমজ্জিত থাকত। ব্রিটিশ শাসনের অনুপ্রেরণায় ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করেছে। যদিও এক্ষেত্রে ব্রিটিশদের নেতিবাচক অনুপ্রেরণা ছিল ।
সর্বোপরি ব্রিটিশের প্রবর্তিত ইংরেজি তথা পাশ্চাত্য শিক্ষা ভারতবাসীকে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছিল। 

শিশুদের অবৈঠনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন,২০০৯

২০০২ সালে ভারতের সংবিধানের ৮৬তম সংশোধনীতে সংবিধানের ২১-এ ধারাতে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের অবৈঠনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।পরবর্তী যেটি শিশুদের অবৈঠনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন,২০০৯ নামে সারা ভারতে চালু হয়েছিল।
শিশুদের অবৈঠনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন,২০০৯
·       ৬ থেকে ১৪ বৎসরের প্রত্যেক শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী কোন বিদ্যালয়ে অবৈঠনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা গ্রহণ করার অধিকার থাকবে ।
·       পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের দূরত্ব ১ কিলোমিটার এবং ষষ্ট শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব ৩ কিলোমিটারের অধিক হবে না ।
·       যে শিশু প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে পারেনি অথবা কোনো দিন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি সে ব্য়সানুসারে যথোপযুক্ত শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে।  
·       স্থানান্তকরণের শংসাপত্রের ভিত্তিতে প্রত্যেক শিশু যে কোন সরকারী এবং সরকারী অনুদান প্রাপ্ত বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।
·       বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময়ে ৬ থেকে ১৪ বৎসরের কোন শিশুকে মেধা যাচাইয়ের জন্য কোন ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না ।
·       শিশুকে বা তার মাতাপিতাকে বা অভিভাবককে কোন বিদ্যালয় বা ব্যক্তিবর্গকে কোন প্রকার কেপিটেশান/ডোনেশন দেওয়ার প্রয়োজন হবে না ।
·       ST,SC,OBC, দের মধ্যে যারা BPL  পরিবারের অন্তর্ভুক্ত তাদেরকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে মোট আসনের ২০% হারে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
·       ৬ থেকে ১৪ বৎসরের প্রত্যেকটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোন শ্রেণীতে আটকে রাখা যাবে না বহিষ্কার করা যাবে না।
·       প্রতিটি শিশু কোন প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ব্যতিরেকে ৮ম মান পর্যন্ত শিক্ষা পাওয়ার অধিকার থাকবে ।
·       ৬ থেকে ১৪ বৎসরের পাঠরত প্রত্যেক শিশু সরকারী এবং সরকারী অনুদান প্রাপ্ত বেসরকারি প্রত্যেক কর্ম দিবসে মধ্যহ্ন আহার পাবে।
·       বয়সের প্রমাণপত্রের অভাবে কোন শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে অস্বীকার করা যাবে ।
·       ছাত্র শিক্ষকের অনুপাত হবে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত 1:30 ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে 1:35 এবং বছরে ২০০ থেকে ২২০ দিন ক্লাস করতে হবে।
·       বিদ্যালয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকতে হবে।
·       উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।  

·       অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিশুকে শংসাপত্র দিতে হবে। 

Right to Education

The Constitution (Eighty-sixth Amendment) Act, 2002 inserted Article 21-A in the Constitution of India to provide free and compulsory education of all children in the age group of six to fourteen years as a Fundamental Right in such a manner as the State may, by law, determine. The Right of Children to Free and Compulsory Education (RTE) Act, 2009, which represents the consequential legislation envisaged under Article 21-A, means that every child has a right to full time elementary education of satisfactory and equitable quality in a formal school which satisfies certain essential norms and standards.
Article 21-A and the RTE Act came into effect on 1 April 2010. The title of the RTE Act incorporates the words ‘free and compulsory’. ‘Free education’ means that no child, other than a child who has been admitted by his or her parents to a school which is not supported by the appropriate Government, shall be liable to pay any kind of fee or charges or expenses which may prevent him or her from pursuing and completing elementary education. ‘Compulsory education’ casts an obligation on the appropriate Government and local authorities to provide and ensure admission, attendance and completion of elementary education by all children in the 6-14 age group. With this, India has moved forward to a rights based framework that casts a legal obligation on the Central and State Governments to implement this fundamental child right as enshrined in the Article 21A of the Constitution, in accordance with the provisions of the RTE Act.
The RTE Act provides for the:

  • Right of children to free and compulsory education till completion of elementary education in a neighbourhood school.
  • It clarifies that ‘compulsory education’ means obligation of the appropriate government to provide free elementary education and ensure compulsory admission, attendance and completion of elementary education to every child in the six to fourteen age group. ‘Free’ means that no child shall be liable to pay any kind of fee or charges or expenses which may prevent him or her from pursuing and completing elementary education.
  • It makes provisions for a non-admitted child to be admitted to an age appropriate class.
  • It specifies the duties and responsibilities of appropriate Governments, local authority and parents in providing free and compulsory education, and sharing of financial and other responsibilities between the Central and State Governments.
  • It lays down the norms and standards relating inter alia to Pupil Teacher Ratios (PTRs), buildings and infrastructure, school-working days, teacher-working hours.
  • It provides for rational deployment of teachers by ensuring that the specified pupil teacher ratio is maintained for each school, rather than just as an average for the State or District or Block, thus ensuring that there is no urban-rural imbalance in teacher postings. It also provides for prohibition of deployment of teachers for non-educational work, other than decennial census, elections to local authority, state legislatures and parliament, and disaster relief.
  • It provides for appointment of appropriately trained teachers, i.e. teachers with the requisite entry and academic qualifications.
  • It prohibits (a) physical punishment and mental harassment; (b) screening procedures for admission of children; (c) capitation fee; (d) private tuition by teachers and (e) running of schools without recognition,
  • It provides for development of curriculum in consonance with the values enshrined in the Constitution, and which would ensure the all-round development of the child, building on the child’s knowledge, potentiality and talent and making the child free of fear, trauma and anxiety through a system of child friendly and child centred learning.

Saturday, 26 September 2015

ভারতীয় সংবিধানের শিক্ষাসংক্রান্ত ধারা ও উপধারাগুলি আলোচনা কর ।

ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র । এর রাষ্ট্রের সংবিধান ১৯৫০ সালে ২৬ শে জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হয় । নিম্নে সংবিধানের শিক্ষাসংক্রান্ত ধারা ও উপধারাগুলি আলোচনা করা হল-
(১) ১৪ নং ধারাঃ ভারতের সংবিধানে ১৪ নং ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান। অর্থাৎ আইনের দ্বারা সকলকেই সমানভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
(২)১৫ নং ধারাঃ এই ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষেত্রে সমান আচরণ করবে। অর্থাৎ কারোর ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে না ।
(৩)২৮ নং ধারাঃ এই ধারা অনুযায়ী শিক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে । সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না । কিন্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে, তবে এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা সবসময় এই শিক্ষা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে না ।    
 (৪)২৯ নং ধারাঃ ভারতে অন্তর্ভুক্ত সকল নাগরিক নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি সংরক্ষিত করতে পারবে। ধর্ম, জাতি,বর্ণ, ভাষা ইত্যাদি নির্বিশেষে সকল নাগরিক রাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবে।      
(৫)৩১ নং ধারাঃ এই ধারা অনুযায়ী ধর্ম বা ভাষাভিত্তিক সমস্ত সংখ্যালঘু মানুষ নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে।      
(৬)৪১ নং ধারাঃ এই ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের অন্তর্গত সমস্ত যুবক, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং অক্ষম মানুষদের সরকারীভাবে সাহায্য দান করা হবে এবং সকল নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্র শিক্ষা ও জীবিকার বন্দোবস্ত করবে ।      
(৭)৪৫ নং ধারাঃ এই ধারায় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার দশ বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষা দানের কথা বলা হয়েছে ।      
(৮)৪৬ নং ধারাঃ এই ধারায় সমাজের তপশিলি জাতি ও জনজাতিদের শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।অর্থাৎ রাষ্ট্র তাদের শিক্ষাগত ও আর্থিক উন্নতিতে যথাযথ সাহায্য করবে ।       
(৯)৩৩৭ নং ধারাঃ এই ধারায় ইং-ভারতীয়দের শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে । ১৯৪৮ সালের ৩রা মার্চ এই সম্প্রদায়ের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয় তা সংবিধান প্রণয়নের পর তিনটি আর্থিক বছরের মধ্যে এই সকল সম্প্রদায়ের জন্য ব্যয় করা হয় ।   
(১০)৩৪৩ নং ধারাঃ এই ধারায় জাতীয় ও সরকারী ভাষার কথা বলা হয়েছে । সরকারী ভাষা হবে দেবনাগরি হরফে লিখিত হিন্দি ভাষা । এছাড়া এও বলা হয়েছে যে, ইংরেজি ভাষা সরকারী কাজে সংবিধান প্রণয়নের ১৫ বছর পর্যন্ত ব্যবহৃত হবে ।      
(১১)৩৪৫ নং ধারাঃ এই ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে যে হিন্দি বা অন্য যে কোনো ভাষাকে যে কোনো রাজ্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারী ভাষা হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে ।        
(১২)৩৪৭ নং ধারাঃ এই ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে যে, কোনো রাজ্যের মানুষ যদি নিজেদের ভাষাকে সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রপতিকে জানায় তাহলে রাষ্ট্রপতি রাজ্য সরকারের কাছে সেই ভাষাটিকে সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুমোদন করতে পারে।     
(১৩)৩৫০ নং ধারাঃ ৩৫০ ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক মানুষ প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মাতৃভাষা ব্যবহারের সুযোগ পাবে । ৩৫০ ‘খ’ ধারায় বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি ভাষাগত দিক থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য একজন অধিকারী নিয়োগ করতে পারবে ।     

(১৪)৩৫১ নং ধারাঃ এই ধারায় বলা হয়েছে যে,রাষ্ট্রে হিন্দি ভাষার উন্নতি এমনভাবেই করতে হবে যাতে এই ভাষা দ্বারা সমগ্র দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি প্রকাশ পায় ।        

Education Commission & Committees in India

1.    Wood Despatch-1854
2.    Stanly Despatch-1859
3.    The Hunter Commission(first education commission) -1882
4.    Simla Education Fonference-1901
5.    The Universities Commission – 1902
6.    University act-1904
7.    Government Resolution on Educational policy - 1913
8.    The Calcutta University Commission- 1917-19
9.    The Hartog Committee- 1929
10.           The Sapru Committee -1934
11.           CABE Newly Formation-1935
12.           The Abbot-Wood Report, 1936-37
13.           Zakir Hussain Committee -1937
14.           Wardha Project- 1938
15.           The Sergeant Report- 1944
16.           AICTE Formation-1945
17.           The University Education Commission – 1948-49
18.           The Secondary Education Commission(Mudaliar Commission)-1952-53
19.           The National Committee on Women's Education-1958
20.           NCERT Formation- 1961 
21.           D.S. Kothari Commission- 1964 – 66
22.           National Policy on Education-1968.     
23.           National Policy on Education-1979.     
24.           National Policy on Education-1986.     
25.           Yashpal Committee Report -1993
26.           National Knowledge Commission-2005
27.           S. Muthukumaran Committee-2007
28.           Right to Free & Compulsory Education Act-2009

Composed By- S.P. CHAKMA


LECTURER

D.I.E.T,UNAKOTI,KAILASHAHAR